সবিনয় নিবেদন

থাকুক সে আমারে ভুলে

সিঁথিতে সিঁদুর লয়ে

চিরসুখী দেবীতার মত

হ্রদয়ের জটিল যন্ত্রণা

সে যদি বুঝে

তবে আজো বুঝবে সে

তার অভাবে

আমারও হাতে পায়ে গজিয়েছে নখ

তার কাছের পুরুষটির মত।



আমারে সে ভুলুক

পারে সে যত

চিত্কারে,ধীক্কারে বলিব না তারে

লাঞ্ছিত যুবাটিত মত

ব্যথিত হ্রদয়ে

আমারে সে কাঁদিয়েছে,ঠকিয়েছে

মূঢ়তার মত

দিয়েছে বিরল দুঃখ, বিপুল বেদন।



পুড়িয়ে ইন্দ্রজাল যঞ্জের অনলে

খেয়ে নেব ভষ্ম-ছাই চিরতার জলে

তবু যন্ত্রণা যাতনায় জ্বলে

করিব না তারে

মায়া-যাদুটোনা

লিব না তোমার কারনেই

এত ধ্বংস,দুর্ভিক্ষ,ক্রন্দন

ক্ষমা চাই, ক্ষমা চাই

সবিনয় নিবেদন।

রগমগ পৃ-২৬

চরস

প্রেমের শ্রাদ্ধ পিন্ডি সেরে নেব

পিঠাপিঠি

তবু তোমার মুখের ধারাল কথায়

মেনে নেব না রাজদন্ড।

ঝেঁটিয়ে বিদায় করবো

বুকের আলগা পিরিত

তবু ঝাঁঝালো রৌদ্দুরে পুড়ে

রাঙা ঝিনুক কুড়াতে যাব না

জলের ঝাপটায়।


বুকের ছাউনীতে গাঁটবন্দী করে রাখবো

সুহাসিনীর মুখ, বর্ণিল পান্না

চোখেরতল হতে

গলাধাক্কা দিয়ে বের করে দেব

নাকি কান্না

তবু ছিন্নমস্তা দেবীর মত

নৈবদ্যের আশায় বসে থাকবো না

পুরোহিতের ঘরে।


নৈতিক কথাবার্তা পকেটে নিয়ে ঘুরুক

মাইনে করা লোক

বার্ণিশ চেয়ারে বসে বগল বাজাক

জল্লাদ,কসাই

তবু ধনকুবেরের মত ধনদাস হব না

ভিখারীকে গলাজলে ডুবিয়ে

এর চেয়ে পিছনে পিছিয়ে যাব ছ-পা

কোলবালিশ ছাড়াই ঘুমাবো

ফুটপাতে

অন্তত,ঝড়-তুফান-দুর্ভিক্ষ

দরিদ্রকে আর দরিদ্র করতে

পারবে না

একমুঠো চাল সে পাবেই

পিতৃপুরুষের পিন্ডির জন্য।


চেলাকাঠের মত চেঁচিয়ে ওঠো কেন

তোমার চোখ রাঙানিকে আমি

ভয় করি না, ভয় করি না।


রগমক পৃ-২৭-২৮

"রৌদ্রের গায়ে মেয়েলী গন্ধ" ও "চোখেরতলে স্বপ্নগুলো" কাব্যদ্বয় এবং আমার অপ্রকাশিত কবিতা: মানুষের মুখে সুখ নেই

"রৌদ্রের গায়ে মেয়েলী গন্ধ" ও "চোখেরতলে স্বপ্নগুলো" কাব্যদ্বয় এবং আমার অপ্রকাশিত কবিতা: মানুষের মুখে সুখ নেই: "মানুষের মুখে সুখ নেই, কেবল বিষাদ দ্বিতীয়বার চেয়ে দেখি, বিপুল ঘৃনা পাইনি প্রশংসার কোন পঙক্তি আমি বিস্মিত হলাম প্রবল বেগে প্রবাহিত স্রোতের মত।..."

মানুষের মুখে সুখ নেই

মানুষের মুখে সুখ নেই, কেবল বিষাদ
দ্বিতীয়বার চেয়ে দেখি, বিপুল ঘৃনা
পাইনি প্রশংসার কোন পঙক্তি
আমি বিস্মিত হলাম
প্রবল বেগে প্রবাহিত স্রোতের মত।

আমি শিউরে উঠলাম দেখে, আরেকবার
এত সুন্দর পেয়ারা পাতা মুখগুলোতে
নেই কোনো সবুজ,
শুধু চোখে- মুখে নাচছে
তুমুল কুৎসিত কাম।

আমি সুখ খোঁজে পেলাম
রৌদ্র-কুয়াশা-মাটি, মৃতের মুখে
ইস্কুল পালিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে নদীততে
নারীর অলসচুলে, শিউলির গন্ধে
পাহাড় চূড়ার ফাঁকে মেঘেদের মুখে।

গোত্র-অগোত্রের আদিম কুসংস্কার
ভেঙ্গে গেল আমার প্রেমিকার
অপ্রেমের সংসার
তার মুখেও আজ কোনো সুখ নেই,
সুখ নেই।

রগমগ পৃ-৪৪

লাশ

আমার দেহকে খন্ড-বিখন্ড করে
উপভোগ কর তোমরা
আমি পারলাম না কারো বোন হতে
পারলাম না কারো মা হতে
হতে পারলাম না কারো প্রেমিকা
এ ব্যর্থতাটুকু আমার থাক!
আমার লাশের পাশে
দুটো ক্ষুধার্ত কাক
আমাকে চিতায় পুড়িও না
আমার দেহকে দ্বি-খন্ডিত করে
ভাগ করে দাও ওদের।

চতস-পৃ-৪৩